- Get link
- X
- Other Apps
অন্যায়ের প্রতিবাদ করার গুরুত্ব
মুমিন বান্দার অন্যতম সেরা গুণ হলো, সে মানবকল্যাণে নিবেদিতপ্রাণ হবে; মানুষের সুখে-দুঃখে পাশে থাকবে। কল্যাণের পথে তাদের পরিচালিত করবে। পবিত্র কোরআনে এরশাদ হয়েছে, ‘তোমরা শ্রেষ্ঠ জাতি, মানুষের কল্যাণেই তোমাদের সৃষ্টিই করা হয়েছে। তোমরা সৎ কাজের আদেশ করবে এবং অন্যায় কাজে বাধা প্রদান করবে।’ (সুরা আলে ইমরান: ১১০)
মুমিন কোনো অন্যায় হতে দেখলে সামর্থ্য অনুযায়ী সেটির প্রতিবাদ করবে। হাদিসে এসেছে, আবু সায়িদ খুদরি (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুল (সা.) বলেন, ‘তোমাদের মধ্যে যে কেউ কোনো অন্যায় হতে দেখলে যেন হাত দিয়ে বদলে দিতে চেষ্টা করে। যদি তা না পারে, তবে কথা দিয়ে; তাও না পারলে অন্তর দিয়ে (ঘৃণা করবে)। এটি ইমানের দুর্বলতম স্তর।’ (মুসলিম: ৭৪)
তাই কোথাও জুলুম হতে দেখলে সামর্থ্য থাকলে অবশ্যই প্রতিবাদ করতে হবে। কোথাও মিথ্যা পরিবেশিত হলে সেখানে অবশ্যই সত্যটি তুলে ধরতে হবে। কারণ পবিত্র কোরআনে আল্লাহ তাআলা বলেছেন, ‘আর তোমরা সত্যকে মিথ্যার সঙ্গে মিশ্রিত কোরো না এবং জেনে-বুঝে সত্য গোপন কোরো না।’ (সুরা বাকারা: ৪২)
জুলুমের প্রতিবাদ করা ইবাদত। এটি বড় সওয়াবের কাজ। এমনকি অত্যাচারী শাসকের সামনেও সত্য কথা বলার জন্য উৎসাহ দিয়েছেন মহানবী (সা.)। তিনি বললেন, ‘অত্যাচারী শাসকের সামনে সত্য কথা বলা সর্বোত্তম জিহাদ।’ (আহমদ: ১৮৮৩০; তিরমিজি: ২১৭৪)
কোনো জাতি যখন সম্মিলিতভাবে অন্যায়ের প্রতিবাদ ছেড়ে দেয়, তখন বিপদ অত্যাসন্ন হয়ে পড়ে। আল্লাহ তাআলা বনি ইসরাইল সম্পর্কে বলেছেন, ‘তারা যেসব গর্হিত কাজ করত, তা থেকে তারা একে অন্যকে বারণ করত না। তারা যা করত, তা কতই-না নিকৃষ্ট।’ (সুরা মায়িদা: ৭৯)
- Get link
- X
- Other Apps
Comments
Post a Comment